মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদকে কেন্দ্র করে প্রিয়জনদের সান্নিধ্য পেতে হাজারো কষ্ট স্বীকার করেও রাজধানী ছেড়েছে লাখো মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর বাস টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনে যাত্রীদের যে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে, আজ তা আর নেই। ঢাকা যেন ফাঁকা হয়ে গেছে।
রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা চলছে। গরুর হাট, বিভিন্ন বিপণিবিতান এলাকা, বাস স্টেশন ছাড়া পুরো রাজধানীই ধীরে ধীরে নীরব হয়ে আসছে। ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোতে কমেছে গণপরিবহন, অটো, ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন। কমেছে মানুষের আনাগোনাও। রাস্তার পাশে থাকা বেশিরভাগ দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট ঈদের ছুটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শেষ মুহূর্তে বাড়ি ফেরা মানুষজন পড়েছেন নতুন বিপাকে। রাস্তায় কমেছে গণপরিবহনের সংখ্যা। বাস স্টেশন বা রেল স্টেশনে যাওয়ার জন্য চাহিদামতো সিএনজি অটো বা রিকশাও পাওয়া যাচ্ছে না রাস্তায়। শহর ছাড়ছেন না কিন্তু বিভিন্ন প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হয়ে দীর্ঘসময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও গণপরিবহন পাচ্ছেন না অনেকে। মাঝেমধ্যে কিছু গণপরিবহন পাওয়া গেলেও সেগুলো এখন তাদের রুট পাল্টে বাস ও ট্রেন স্টেশনমুখী যাত্রীদের বহন করছে।
শনিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর নিউ মার্কেট, এলিফেন্ট রোড, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, বিজয় সরণী ও রামপুরা এলাকা ঘুরে, ভোগান্তিতে পড়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে এমন অবস্থার কথা জানা গেছে।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। ফাঁকা রাজধানীতে যানবাহনের সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও অনেক কম। রিকশা, অটোরিকশাসহ গণপরিবহনের সংখ্যাও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক কম। মাঝেমধ্যে কয়েকটির দেখা মেললেও সেগুলো অল্প দূরত্বের যাত্রীদের নিচ্ছে না। বিশেষ কাজে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের দীর্ঘসময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। রাস্তায় গণপরিবহন কম থাকার সুযোগে সিএনজি ও রিকশাচালকরা বেশি ভাড়া আদায় করছেন বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।